এসএম বিশাল: রাজশাহী অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে ভেষজ উদ্ভিদ বাসকের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিগ্রামে জাহাঙ্গীর আলম শাহ নামের একজন ব্যক্তি তার কৃষি জমিতে বাসক চাষ শুরু করেছেন। ভেষজ গুণসম্পন্ন এই গাছের পাতা এসিআই, স্কয়ারসহ বিভিন্ন কোম্পানির কাছে চাহিদা রয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম শাহ রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী শিক্ষক। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে তিনি সপরিবারে তার পৈত্রিক বাড়ি কালিগ্রামে অবস্থান করছিলেন। তিনি জানান, লকডাউনের সময় যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিলেন, করোনা ভাইরাসের এই মহামারী পরিস্থিতি মোকাবেলায় কেউ একখ- জমিও ফাঁকা রাখবেন না। তার এই ঘোষণার পরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার জমিতে বাসক চারা গাছ রোপনের। জুলাই মাসে গাইবান্ধার রফিক নামের এক কৃষকের কাছ থেকে বাসকের চারা কিনে এনে লাগান তিনি।
বাসক গাছ লাগানোর বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম শাহ জানান, তিনি রাজশাহীতে থাকেন। গ্রামে মাঝেমধ্যে আসা যাওয়া করেন। যেহেতু বাসক গাছ গরু-ছাগলে খায়না, আবার পরিবেশবান্ধব, দেখভাল করতে সুবিধা তাই বাসক গাছ লাগানো হয়েছে।তবে উঁচু জমিতে বাসক গাছ লাগাতে হয়। কেননা জমিতে পানি জমে থাকলে বাসকের চারা মরে যায়। এইজন্য বরেন্দ্র অঞ্চলে বাসকের চাষাবাদ করা সহজ।
কোনোরকম রাসায়নিক ছাড়াই সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন জাহাঙ্গীর আলম শাহ।তার একজন সহকারী তার আম বাগান ও ফসল দেখাশোনা করেন।
রাজশাহীর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকেও জানানো হয়েছে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে বাসক চাষ করা হচ্ছে। তবে বাসাবাড়ির আঙিনায়, পতিত জমিতে ও পুকুর পাড়ে বিচ্ছিন্নভাবে অনেকে বাসক চাষ করেন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শামসুল হক জানান, খুব কম খরচে বাসক চাষ করা যায় বলে বাসক চাষ লাভজনক। আবার পোকামাকড় হয়না বললেই চলে।সাথী ফসল হিসেবেও চাষাবাদ করা যায়।যেকেউ কম খরচে বাসক চাষ করে লাভবান হতে পারবেন।
মতিহার বার্তা ডট কম: ১৮ নভেম্বর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.